RSS

Category Archives: Uncategorized

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর .docx to .doc কনভার্টার

যারা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ২০০৭ ভার্সনে কাজ করেন তারা জানেন তাদের ফাইল  .docx  মুডে সেভ হয়। এই  .docx ফাইলগুলো মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের অন্যান্য ভার্সনগুলোতে ওপেন হয় না। এটি এখান থেকে ডাউনলোড করুন। তারপর ইনষ্টল করুন। তারপর ফুল ভারসন বানানোর জন্য প্যাচ করুন। প্যাচ ফাইল ওখানেই পাবেন।

ব্যবহার পক্রিয়া

আপনার (.docx) ফাইলটি ডেক্সটপে রাখুন। তারপর C:\Program Files\docXConverter3\docXConverter.exe ফাইলটি ওপেন করুন।

তাহলে এরকম একটি উইন্ডো আসবে

https://i0.wp.com/www.rongmohol.com/uploads/1805_docsx_converter-1.jpg

এখানে আপনার (.docx) ফাইলটি ড্র্যাগ করে ছেড়ে দিন।

যেহেতু আপনি ডেমো সফটওয়ার ব্যবহার করছেন তাই এমন দেখাবে। কোন দিকে না তাকিয়ে Continue এ ক্লিক করুন।

https://i0.wp.com/www.rongmohol.com/uploads/1805_docsx_converter-2.jpg

তারপর আপনার ডকুমেন্টটি  (.docx) থেকে (.doc) তে কনভার্ট হবে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ওপেন হবে।

https://i0.wp.com/www.rongmohol.com/uploads/1805_docsx_converter-4.jpg

ও হ্যা একটা কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম। তা হল যেহেতু এটা ডেমো প্রোগ্রাম তাই কনভার্ট করা প্রথম ডকুমেন্ট ফাইলের প্রথম পেজে নিচের চিত্রের মত থাকবে।

https://i0.wp.com/www.rongmohol.com/uploads/1805_docsx_converter-3.jpg

এটা কোন সমস্যাই না। চোক-কান বন্ধ করে সেটুকু ব্লক করে মুছে দিন। আর হ্যা ক্র্যাক ফাইল আছে ফুল ভার্সন বানানোর জন্য ওই ফোল্ডারেই!! তবে আমার অ্যাভাস্ট সেটাকে ভাইরাস বলে এলার্ট দিচ্ছে তাই আমি সে চেষ্টা করিনি। এটাই ভাল।

 
এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

Posted by চালু করুন ডিসেম্বর 6, 2011 in Uncategorized

 

ট্যাগ সমুহঃ , ,

SEO Panel – প্রথম ওপেনসোর্স Search Engine Control Panel

হাঃ লিখতে বসলাম একটা জন গুরত্বপুর্ন পোষ্ট…..(আসলেই কি তাই ?)

যাদের SEO নিয়ে মাথা ব্যাথার শেষ নাই তাদের জন্যে কিছুটা হলেও মাথা ব্যথা অপ্টিমাইজ করার কথা !

সবচেয়ে মাথা ব্যথার কথা হল SEO এর জন্যে ভাল টুলস গুলো ফ্রি ব্যবহার করার কথা চিন্তাও করা যায় না..কিন্তু এবার আর যাবেন কই ব্যবহার করুন SEO Panel…

search engine saturation 150×150 SEO Panel – প্রথম ওপেনসোর্স Search Engine Control Panel

কি কি আছে এই ওপেন সোর্স পানেলে ?

১। Keyword Position Checker

আপনার ব্লগের পোষ্টটি বা সাইটের কোন পেইজ কোন নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের জন্যে Search engine এর কত নং পজিশনে অবস্থান করছে সাথে সাথে জানতে পারবেন…সাথে পাবেন বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের জন্যে Graphical Position রিপোর্ট। Keywords Manager টি ব্যবহার করে নতুন কোন কিওয়ার্ড যোগ করে দিতে পারবেন এবং তার রিপোর্ট জানতে পারবেন,Generate Keyword Reports এর মাধ্যমে সকল কিওয়ার্ডের বর্তমান অবস্থান জানতে পারবেন।

২। Site Auditor

এটির মাধ্যমে আপনার সাইটের Google, Yahoo, Bing ব্যাক্লিঙ্কস দেখতে পারবেন…সাথে থাকবে Indexed রিপোর্ট। External,Total Links ও সাথে পাবেন, Sitemap Generate করতেও পারবেন এই টুলটির মাধ্যমে।

৩। Rank Checker

গুগল পেইজ র‍্যাং এবং এলেক্সা র‍্যাংক পাবেন একই সাথে এই টুলটি ব্যবহার করে, Generate Rank Reports এর মাধমে বিভিন্ন তারিখের র‍্যাংকের উঠা-নামা চিহ্নত করতে পারবেন।

৪। Backlinks Checker

এটির মাধ্যমে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের ব্যাকলিঙ্ক চেক করতে পারবেন, আর Generate Backlinks Reports এর মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখের মধ্যে ব্যাকলিঙ্ক এর রিপোর্ট পাবেন।

৫। Directory Submission

দুঃখের বিষয় মাত্র ১৬০ টি ফ্রী Directory ওয়েব সাইটের লিঙ্ক দেয়া আছে যদি হাজার খানিক সাইটের লিঙ্ক দেয়া থাকত তাহলে আর আপনাকে পাইত কে ? যাই হোক এই ১৬০ টি ফ্রী Directory Submission করতে পারবেন…

৬। Search Engine Saturation

এটির মাধমে জানতে পারবেন বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন কত পেইজ বা লিঙ্ক ইডেক্স করে নিয়েছে…এবং Generate Saturation Reports এর মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখের রিপোর্ট পাবেন।

আরো কিছু যেগুলো মাথা ব্যাথার কারন কিন্তু ফ্রি নয় !!

১। Blog Commentor

এটির মাধমে আপনার নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের জন্যে হাজার ব্লগে ঠিকানা পাবেন এবং ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করতে চাইলে ব্লগ গুলোতে কমেন্টের ঝড় তুলে দিয়ে আসতে পারেন।(স্পাম হতে দূরে থাকবেন )

এছাড়া আরো কিছু প্লাগিন্স আছে যেগুলো ফ্রি নয় তাই আপনাদের মাথা ব্যথা বাড়ানোর জন্যে প্যাচাল বাড়াতে চাই না…

চাইলে একবার টেস্ট করে দেখে আস্তে পারেন এই ঠিকানায়…http://easysocialbookmarking.com/seo-panel/

ভাল না লাগলে আমার কোন দোষ নাই, মাথা ব্যাথার ঔষধ নিজে খেয়ে নিবেন…..(টিক টিক টিক…)

 
 

মিশর, মমি, পিরামিড,ক্লিওপেট্রা, এবং ছয়টি কবর না দেয়া মৃতদেহের কথা


উত্তর আফ্রিকার পূর্বপ্রান্তের মরুভূমি ঘেরা কোন দেশের খোজ যদি জানতে চান তাহলে বলা যায় মিশরের কথা।ইংরেজিতে ঈজিপ্ট বাংলায় মিশর ।দেশটি নীলনদ, পিরামিড, ও তাদের রাজা বাদশাদের মমির জন্য বিখ্যাত।

শুনছি ঈজ়িপ্টে প্রথম জ্যামিতি চর্চা শুরু হয়।নীল নদের কারনে প্রতি বছর বন্যায় ঘরবাড়ি জায়গা জমি সব ভেসে যেত।তাই জমি মাপজোকের প্রয়োজনেই সেখানে জ্যামিতি অর্থাৎ ভূমি পরিমাপ ব্যবস্থার সুত্রপাত হয়।আমার একই কারন ই মিশরের লোকেরা দলবেধেঁ থাকতে উদ্ভুদ্ধ হয়েছিল।এক সাথে থাকলে যে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগই সহজে মোকাবেলা করা যায়।

পিরামিড

মিশরের রাজাদের বলা হত ফেরো।এটা ছিল তাদের উপাধি।যেমন আমাদের বর্তমান প্রধান্মন্ত্রী শেখ হাসিনার উপাধি জননেত্রী এবং সাবেক প্রধান্মন্ত্রীর উপাধী দেশরত্ন।মিশরের প্রজাগন তাদের ফেরো বা ফারাও দের দেবতাজ্ঞানে পুজা করত।রাজা বাদশাদের মধ্যে একটি মুদ্রাদোষ লক্ষ্য করা যায়।তারা ক্ষমতায় গেলেই তাদের মধ্যে বিচিত্র খেয়াল এবং খায়েশের উদ্ভব হয়।যেমন আমাদের জননেত্রী প্রায় ১০৩ জন সঙ্গীসাথী নিয়ে বিদেশ ভ্রমন করে এলেন এবং প্রায় বারশ কোটি টাকা দিয়ে একটা বিমান বন্দরের নাম পাল্টালেন।এটাও এক ধরনের বিচিত্র খেয়াল।মিশরের ফেরোদের তেমনি ইচ্ছা ছিল তাদের নশ্বর দেহ যেন মৃত্যু পরবর্তী সময়ে অবিনশ্বর থাকে।এ ব্যাপারে তারা এক আশ্চর্য পদ্ধতি আবিষ্কার করল।যেই পদ্ধতির মাধ্যমে মৃতদেহকে অনেক অনেক দিন অবিকৃত করে রাখা যায়।এভাবে অবিকৃত অবস্থায় করে রাখাকে বলা হত মমি বা মামী।এখন প্রশ্ন হল প্রাচীন লোকগুলো মমি তৈরীর কৌশল কীভাবে জানল? পিরামিড নামক উচু যে বস্তুগুলোর মধ্যে মমি রাখা হত সেই পিরামিড গুলো তৈরী করার আগ থেকেই তারা মমি তৈরী করা জানত।কেউ কেউ মনে করেন ভীনগ্রহের প্রানীরা একবার পৃথিবীতে এসেছিল এবং তাদের আগমন ঘটেছিল এই মিশরে।ফলে মমি এবং পিরামিড বানানোর কৌশল মিশরের মানুষেরা তাদের কাছ থেকে শিখে নেয়।হতে পারে এটা কিছু কল্পনাবিলাসী মানুষের ভাবনা কিন্তু কিছুই অসম্ভব নয়।জগতের খুব সামান্যই মানুষ জানে , অনেক কিছুই এখনো অজানা।


মমি


মমি

এখন আসা যাক পিরামিডের কথায়।পিরামিড প্রায় পাচঁ হাজার বছর আগ থেকেই বানান হয়।আগেই বলেছি এগুলো ছিল সমাধি মন্দির।তৃতীয় রাজবংশের প্রথম ফেরো জোসেফের জন্য প্রথম পিরামিড নির্মিত হয়।মরুভুমির প্রান্তের পাহাড় থেকে পাথর কেটে এগুলো বানানো হয়।।মিশরীয়রা মনে করত যতদিন রাজাদের দেহ রক্ষা করা যাবে ততদিন তারা স্বর্গে বাস করবে। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী এখনো তাদের অনেক রাজা স্বর্গে আছেন।

কথা প্রসঙ্গে বলি মিশরীয় এই ফারাও রা ছাড়া আরো ছয়টি মৃতদেহ এখনো সংরক্ষিত আছে,তাদের কবর দেয়া হয় নি।এগুলো হচ্ছে

তেলু মানব

তোলুঁ মানুষ, জাটল্যান্ড, ডেনমার্ক , কিছু লোক কয়লার খনিতে এই মৃতদেহ অবিকৃত অবস্থায় পায় ১৯৫০ সালে।ধারনা করা হয় খ্রিস্টজন্মের চারশ বছরত আগে এরা বাস করত।

বকস্টেন মানুষ, ভারবার্গ, সুইডেন ,১৯৩৬ সালে বকস্টেনের মৃতদেহটি আবিষ্কৃত হয় একটি কয়লা খনিতে।ধারনা করা হয় লোকটা বেঁচেছিল ১৪শ’ শতকে।

জিনজার, লন্ডন, চুলের এবং শরীরের চামড়ার রঙ আদার মত।তাই নাম রাখা হয়েছে জিনজার।ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত।

হুয়ানিতা, দ্য আইস মেইডেন, পেরু, এটি একটি ইনকা মেয়ের মৃতদেহ।পাচশ বছর বয়স।একে বলা হয় বরফকুমারী।

লেনিন, মস্কো ,পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মমি ধরা হয় লেনিনের মৃতদেহকে।রাশিয়ার লেলিনকে মমি করে রাখা হয়েছে আগামীদিনের কমরেড দের অনুপ্রানিত করার জন্য।

কো সামুই, থাইল্যান্ড : ইনি থাইল্যান্ডের একজন মৃত মঠসন্ন্যাসী।তার দেহ ও রাখা হয়েছে মমি করে।

আমরা যদি আমাদের রাজা/রানীদের(আমাদের দেশে এখনো গনতন্ত্ররুপে রাজতন্ত্র চলছে) মমী করে রাখা যেত তাহলে বনেক ভাল হত বলে মনে হয়।অনেক দিন পর বিদেশ থেকে দর্শনার্থী আসত দেখার জন্য।তাতে দেশের কিছু লাভ হত।যারা জীবদ্দশায় দেশের শুধু ক্ষতিই করেছেন তাদের মৃতদেহ যদি কিছু দেশের কিছু উপকার করে তাহলে মন্দ হয় না।

মিশরীয়রা গদের আটার সাথে রান্নাঘরের চুলার উপরে যে কাল কাল জিনিস মাকড়শার জাল বা ইত্যাদিতে ঝুলে থাকে ওগুলো মিশিয়ে তৈরী করল কালি।প্যাপাইরাস নামক নলখাগড়া থেকে কাগজ তৈরী করে ফেলল।তাদের লেখার রীতি ছিল চিত্রঙ্কন পদ্ধতিতে।মিশরীয়দের মধ্যে অনেক ক্রিয়েটিভিটি ছিল বোঝা যায়।

স্ফিংকসের মূর্তি
চতুর্থ রাজবংশের এক ফেরোর নাম ছিল খাফরে।একদা এক অদ্ভুদ খেয়ালের বশবর্তী হয়ে তিনি মস্ত বড় এক পাহাড় কাটিয়ে নির্মান করলেন অতি আশ্চর্য জনক এক মূর্তি। আশ্চর্যজনক কারন মূর্তিটার শরীরটা সিংহের কিন্তু মাথা মানুষের।এটাই প্রসিদ্ধ স্ফিংক্সের মূর্তি।

আমাদের দেশের দুই রানীর মত মিশরের ও এক রানী ছিলেন।উনি ক্লিওপেট্রা।

ক্লিওপেট্রা

সিজার এবং ক্লিওপেট্রা

ক্লিওপেট্রার পাথরে খোদাই করা ছবি


ক্লিওপেট্রা

ডেথ অফ ক্লিওপেট্রা
টলেমি বংশের শেষ শাসক।তিনি রোম সেনাপতি মার্ক এন্টনির সাথে প্রনয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।তাদের প্রেম উপাখ্যান নিয়ে অনেক কথা প্রচলিত আছে।শেক্সপিয়ার তাদের নিয়েই লিখেছিলেন “এন্টনি এন্ড ক্লিওপেট্রা”।আফসোস আমাদের দুই রানী নিয়া কেউ কিছু লিখলো না।

 
 

৭৫তম জন্মবার্ষিকীতেও বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মাদের স্মৃতি চিহ্নে নানা অসঙ্গতি

২৬ ফেব্রুয়ারি, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৭৫তম জন্মদিন। ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নূর মোহাম্মদ শেখ নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তবে মহিষখোলার নাম এখন নূর মোহাম্মদনগর।

বাল্য বয়সে পিতা মোহাম্মদ আমানত শেখ এবং মা জেন্নাতুন্নেছাকে (মতান্তরে জেন্নাতা খানম) হারান। নূর মোহাম্মাদ সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন বলে জানা যায়।

১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলেস (ইপিআর)-এ যোগদান করেন। দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই যশোর সেক্টরে বদলি হন। ইতিমধ্যে তিনি ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি পান।

১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ চলাকালীন যশোরের শার্শা থানার কাশীপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদার নেতৃত্বে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। এ সময় এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮ নম্বর সেক্টরে কমান্ডার ছিলেন কর্নেল (অব) আবু ওসমান চৌধুরী এবং সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এসএ মঞ্জুর।

১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোরের গোয়ালহাটি ও ছুটিপুরে পাক বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে মৃতুবরণ করেন নূর মোহাম্মাদ। পাকবাহিনীর গুলিতে সহযোদ্ধা নান্নু মিয়া গুরুতর আহত হলে নূর মোহাম্মদ শেখ হাতে এলএমজি এবং কাঁধে আহত সঙ্গীকে নিয়ে শত্রু পক্ষের দিকে গুলি ছুড়তে থাকেন। হঠাৎ পাক বাহিনীর মর্টারের আঘাতে তার হাঁটু ভেঙ্গে যায়। তবুও তিনি গুলি ছুড়া অব্যাহত রাখেন।

এক সময় মৃত্যুকোলে ঢলে পড়েন তিনি। যশোরের শার্শা থানার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়। বর্তমানে স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা, পুত্র গোলাম মোস্তফা ও তিন কন্যা আছেন।

এদিকে এই মহান বীরের সম্মানে নড়াইল শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক স্কুল এবং কলেজ প্রাঙ্গণে নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মিত হয়েছে। জনবল ও সীমানা প্রাচীরের অভাবে কার্যক্রম অনেকটা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানান জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক ইউনুস শেখ (৩৭)।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, ১০ বছর অতিবাহিত হলেও নূর মোহাম্মদ স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা বিনা বেতনে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কলেজের অবস্থাও একই রকম। তিন বছর ধরে লাইন ও খুঁটি পড়ে থাকলেও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই নূর মোহাম্মদনগরে।

২০০৭ সালের ৮ আগস্ট নূর মোহাম্মদের বসতভিটায় স্মৃতিস্তম্ভের কাজ শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। বীরশ্রেষ্ঠের স্মৃতিচিহ্ন একমাত্র টিনের ঘরটি মাটির সঙ্গে মিশে যেতে বসেছে।

জেলা পরিষদ নড়াইলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গাউস বলেন, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের অভাবে অবশিষ্ট কাজ থেমে আছে। এদিকে নূর মোহাম্মদসহ বীর শ্রেষ্ঠদের জন্ম-মৃত্যু বাষির্কী সরকারিভাবে পালনের জন্য নূর মোহাম্মদের স্ত্রী ও তার পরিবার দাবি করে আসলেও তা পূরণ হয়নি।

নূর মোহাম্মদের কবর যশোরের গোয়ালহাটি থেকে নড়াইলে আসার দাবি উপেক্ষিত রয়ে গেছে বলে জানান স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নূর মোহাম্মদ ট্রাস্ট্রের উদ্যোগে নূর মোহাম্মদনগরে আজ শুক্রবার কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া আগামী ১৩ মার্চ থেকে সপ্তাহব্যাপী মেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে আয়োজক সূত্রে জানা গেছে। উদ্বোধনের সময় জাদুঘর ভবনের নাম ফলকে যে ভুল করা হয়েছিল, তা আজো পর্যন্ত ঠিক করা হয়নি। ফলকে লেখা রয়েছে- ১৯৫৯ সালের ২৪ মার্চ ইপিআরে যোগদান করেন। প্রকৃতপক্ষে ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি যোগদান করেন বলে জেলা পরিষদ স্মারকগ্রন্থ ও রাইফেলস সপ্তাহ উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।